
কমলো এলপিজি গ্যাসের দাম ১২ কেজিতে ৩৯ টাকা
বাংলাদেশের গৃহস্থালি ব্যবহারকারীদের জন্য জুলাই মাসে এলপিজির দাম কমায় এক ধরনের স্বস্তি ফিরে এসেছে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) ঘোষিত নতুন মূল্যে ১২ কেজির একটি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ৩৯ টাকা কমানো হয়েছে।
বুধবার (২৬ জুন) বিইআরসির চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ এক সংবাদ সম্মেলনে এই নতুন দর ঘোষণা করেন। তার ভাষ্যমতে, আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে নতুন মূল্য কার্যকর হয়েছে। জুন মাসে ১২ কেজির এলপিজির দাম ছিল ১,৪০৩ টাকা। জুলাই মাসে সেটি নির্ধারণ করা হয়েছে ১,৩৬৪ টাকা।
প্রতি কেজিতে কমেছে ৩ টাকা ৩০ পয়সা
এবারের নতুন মূল্য অনুযায়ী, প্রতিকেজি বেসরকারি এলপিজির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৩ টাকা ৬৪ পয়সা (ভ্যাটসহ)। গত মাসে এটি ছিল ১১৬ টাকা ৯৪ পয়সা। এই হিসাবে প্রতি কেজিতে ৩ টাকা ৩০ পয়সা কমেছে।
বাজারে দাম ঠিকমতো মানা হয় না
যদিও বিইআরসি প্রতি মাসেই দাম নির্ধারণ করে, কিন্তু অভিযোগ রয়েছে—বাজারে সেই নির্ধারিত দামে এলপিজি সবসময় বিক্রি হয় না। বিশেষ করে গৃহস্থালির ব্যবহারে সবচেয়ে জনপ্রিয় ১২ কেজি সিলিন্ডারের ক্ষেত্রেই ভোক্তারা বাড়তি দাম দিতে বাধ্য হন।
সরকারি কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত
সরকারি কোম্পানির সরবরাহ করা ১২.৫ কেজি সিলিন্ডারের দাম আগের মতোই ৮২৫ টাকা রাখা হয়েছে। এই দামে কোনো পরিবর্তন হয়নি। অন্যদিকে, যানবাহনে ব্যবহৃত অটোগ্যাসের দামও প্রতি লিটার ৬৪ টাকা ৩০ পয়সা থেকে কমে ৬২ টাকা ৪৬ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কিভাবে নির্ধারণ হয় এলপিজির দাম?
বাংলাদেশে ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে এলপিজির দাম প্রতি মাসে পুনর্নির্ধারণ করছে বিইআরসি। এর মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন আমদানি করা হয় বিভিন্ন দেশ থেকে।
এই উপাদানগুলোর আন্তর্জাতিক দাম নির্ধারণ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো, যা ‘সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি)’ নামে পরিচিত। সেই মূল্যকে ভিত্তি ধরেই দেশে এলপিজির দর সমন্বয় করা হয়।
আরো পড়ুন: ২ জুলাই আজকের সোনার দাম ২০২৫ | Gold Price Bangladesh
বিভিন্ন আকারের সিলিন্ডারে নতুন দাম
নতুন কেজি প্রতি মূল্য অনুযায়ী নিচে কয়েকটি জনপ্রিয় সাইজের সিলিন্ডারের দাম উল্লেখ করা হলো:
- ৬ কেজি → ৬৮২ টাকা (প্রায়)
- ১২ কেজি → ১,৩৬৪ টাকা
- ১৮ কেজি → ২,০৪৬ টাকা
- ৩০ কেজি → ৩,৪০৯ টাকা
(উল্লেখ্য: ভ্যাটসহ প্রযোজ্য দর)
জুলাইয়ে এলপিজির ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৩৯ টাকা কমে যাওয়ায় গৃহস্থালির খরচে কিছুটা হলেও স্বস্তি আসবে সাধারণ মানুষের। বিশেষ করে যাঁরা প্রতিমাসে এলপিজির দাম বাড়ায় চিন্তায় পড়েন, তাঁদের জন্য এটি ভালো খবর। বিইআরসি-এর এই মূল্য সমন্বয় আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর নির্ভর করলেও নিয়মিত আপডেট দেওয়া অনেকটা স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে। তবে চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে একটাই—নির্ধারিত দামে ভোক্তা পর্যায়ে সরবরাহ নিশ্চিত করা।