
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আবারও টিকটক 90 দিনের জন্য ব্যান অথবা বিক্রি করার জন্য আইন কার্যকর নির্ধারণ করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তো বন্ধু আপনি আজকের এই পোস্ট থেকে জানতে পারবেন কেন যুক্তরাষ্ট্রের টিকটক ব্যান করা হবে? বা কেন ডোনাল্ড ট্রাম্প টিকটক বিক্রি করার জন্য আইন পাস করেছেন? এই সকল তথ্য বিস্তারিত আজকের এই পোস্ট থেকে আপনি জানতে পারবেন।
কেন যুক্তরাষ্ট্রের টিকটক ব্যান করবে?
২০২৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউস থেকে টিকটক ব্যান করার একটি আইন পাস করেছেন। সেই ধারাবাহিকতায় বর্তমান যুক্তরাষ্ট্রের মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যাচ্ছে টিকটকে ব্যান না করে কিভাবে টিকটক কে সচল রাখা যায় তার একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন।
টিকটক অ্যাপস টি হল চীনা কোম্পানির তাই tiktok এর সকল ডেটা রয়েছে চীনের হাতে। তাই মার্কিনরা মনে করেন বর্তমান tiktok এ তাদের অনেক ব্যবহারকারী রয়েছেন তাদের সুরক্ষা প্রদান করার জন্য তাদের কাছে টিকটকের শেয়ার বিক্রি করতে হবে। যেখানে টিকটক পরিচালনা করবে মার্কিনরা। এই কারণে ২০২৪ সালে tiktok ব্যান করার একটি আইন পাস করেছেন।
তবে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর তিনি চাচ্ছেন টিকটক কে কিভাবে বাঁচিয়ে রাখা যায়। কারণ এর আগে টিকটক প্রায় ১৪ ঘণ্টা বলকআউটে ছিল এবং তারা অন্ধকার জগতে চলে যায়। এই কারণে ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে প্রথম টিকটক কে ডোনাল্ড ট্রাম্প ৯০ দিনের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন টিকটকের বর্তমান চীনা কোম্পানিকে যে হয়তো টিকটক কে ব্যান করবেন অথবা ৮০ শতাংশ মালিকানা মার্কিনদের কাছে বিক্রি করে দিতে হবে।
বর্তমান যুক্তরাষ্ট্রের টিকটক এ ১৭ কোটি আমেরিকান ব্যবহার করে রয়েছে। তাদের সুরক্ষার প্রদান করার জন্য তাদেরকে এই অ্যাক্সেস গুলো দিতে হবে। এর কারণ হলো এর আগে অনেকবার চীনের বিভিন্ন কোম্পানি থেকে তথ্য প্রকাশ বা তারা বিক্রি করেছেন। এই কারণে যুক্তরাষ্ট্র মনে করতেছেন তাদের যেহেতু অনেক সংখ্যক ব্যবহারকারী রয়েছে যেহেতু তাদেরকে এক্সেস প্রদান করতে হবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প জানুয়ারি মাস থেকে ৯০ দিনের নিষেধাজ্ঞা অথবা বিক্রি আইন জারি করলে তারপর টিকটক সেই আইনের আওতায় না আসার কারণে আবারো টিকটককে ৭৫ দিনের জন্য নিষেধাজ্ঞা অথবা বিক্রি আইন জারি করেন। এই আইনটি শেষ হবে ১৯শে জুন ২০২৫ এ। তাই এই মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস থেকে একটি আইন পাস করেছেন এবং সেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেছেন যদি টিকটক বিক্রি করার সমর্থন না হয়ে থাকেন তাহলে তাদেরকে আবারো একটি সুযোগ প্রদান করে ৯০ দিনের জন্য tiktok ব্যান করবেন।
তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিএনএন এর এক সাংবাদিক কে মন্তব্য করেছেন যে খুব শীঘ্রই tiktok তাদের শেয়ার মার্কিন দের কাছে বিক্রি করার সমর্থন হবেন।
কেন টিকটক সিদ্ধান্ত নিতে এত সময় লাগতেছে?
২০২৪ সালের পর যখন টিকটক নিষিদ্ধ করার জন্য আমেরিকান আইন পাস করেন এবং তার পরপরই একটি নির্বাচনের মাধ্যমে ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসেন। তিনি মনে করেন যে এই অ্যাপ্লিকেশনটি আমেরিকান প্রায় ১৭ কোটি মানুষ ব্যবহার করে সেহেতু এই অ্যাপ্লিকেশনটিকে অন্ধকার জগতে না পাঠিয়ে কিভাবে সচল রাখা যায় সে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
এরপর পরপরই প্রায় দুটি তারিখ মিস করেন টিক টক এর সিইও শো চিউ। তবে এত বিলম্বিত হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুল্ক আয় চাপিয়ে দিয়েছেন চীনের কাঁদে ৮০% আর এই দর কষাকষি নিয়েই তাদের মধ্যে যে আলোচনা হয়েছিল টিকটক বিক্রি করার জন্য সেটি বেস্তে যায়।
এই কারণে টিকটক কোন সিদ্ধান্ত না নেওয়ার কারণে ধারণা করা হচ্ছে এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন আবারও ৯০ দিনের জন্য তাদের নিষেধাজ্ঞা জারি করবেন।
টিকটক কে কিনবেন?
যদি টিকটক বিক্রি করার ঘোষণা হয় তাহলে মার্কিন কয়েকটি কোম্পানি এবং সংস্থা মিলে এই tiktok ক্রয় করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তাদের মধ্যে ঘোরাফেরা করতেছে বর্তমান বিলিয়োনের মধ্যে ফ্রাস্ক ম্যাককোর্ট এবং “শার্ক ট্যাঙ্ক” এছাড়া বিখ্যাত বিনোকারী কেভিন ও’লিয়ারির একটি দল। তাছাড়া এমাজনের মত প্ল্যাটফর্ম এবং এ আই ফার্ম পারপ্লেক্সিটি এবং কিছু বিনোদকারীর পৃথক দল যার মধ্যে রয়েছে বর্তমান সময়ের টিকটকের এবং ইউটিউবের জনপ্রিয় জিমি ডোনাল্ডসন যাকে মিস্টারবিস্ট নামে সবাই চিনে।
তো বন্ধুরা আশা করি বুঝতে পারছেন যে কেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টিকটক ব্যান অথবা বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পরবর্তী তথ্য পাওয়ার জন্য আমাদের গুগল নিউজ অথবা সোশ্যাল মিডিয়া গুলো ফলো করে রাখতে পারেন।