
উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিহত ও আহতদের জন্য আর্থিক সহায়তার আহ্বান জানিয়ে একটি পোস্ট দেওয়া হয় প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ এর মাধ্যমে। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুর দুইটার একটু পর ওই পোস্টটি দেওয়া হয়। তার আধাঘণ্টার মধ্যে সেটি সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে কেন পোস্টটি মুছে ফেলা হয়েছে, সে বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
প্রধান উপদেষ্টার ‘সাহায্য পোস্টটিতে বলা হয়, যারা উত্তরা মাইলস্টোন কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করতে চান, তারা “প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল”-এ অর্থ জমা দিতে পারেন। এতে উল্লেখ করা হয়:
হিসাবের নাম: প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল
হিসাব নম্বর: ০১০৭৩৩০০৪০৯৩
ব্যাংক: সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় করপোরেট শাখা
পোস্টটি সকল সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর বিভিন্ন মহলে সমালোচনার করছেন সবাই। সবাই প্রশ্ন তোলেন সরকারের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর পদ থেকে কেন জনসাধারণের কাছে চাঁদা চাওয়া হচ্ছে, তা-ও দুর্ঘটনার মাত্র একদিন পরই? এটা আশা করা যায় না। সরকারের কি টাকা নেই।
ফেসবুক ব্যবহারকারী এইপোস্টটির মন্তব্যে খাদিজাতুল কোবরা লিখেছেন, “বন্যার সময় সরকার টাকা তুলবে না বলায় মানুষ মানতে পারেনি। এখন প্রধান উপদেষ্টা বাচ্চাদের চিকিৎসার জন্য টাকা চাইছেন! মাশা আল্লাহ! আমার আর কিছু বলার নেই।”
অন্যএকজন ফেসবুক ব্যবহারকারী কমেন্ট করেন, “সরকার কি একদিনেই ক্রাউড ফান্ডিংয়ে নেমে গেল নাকি? এই ধারণা দিল কে?”
আরো পড়ুন:
উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত: ঘটনাস্থল পরিদর্শনে জামায়াতের আমির, যা বললেন
উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় একাধিক নিহত, তারেক রহমানের শোক ও সহায়তার বার্তা
পোস্টটি যত দ্রুত ফেসবুকে আসে, তত দ্রুত সেটি আবার গায়েব হয়ে যেতে দেখা যায়। যদিও প্রধান উপদেষ্টার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে তা মুছে ফেলা হয়, প্রেস উইংয়ের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সেই একই বার্তা এখনো দেখা যাচ্ছে। ফয়েজ আহম্মদ নামে প্রধান উপদেষ্টার একজন সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব পোস্টটি শেয়ার করেছিলেন এমনটি জানা যাচ্ছে।
সামাজিক চাপ ও সমালোচনার মুখে পোস্টটি সরিয়ে নেওয়া হলেও এ ঘটনায় প্রশাসনের করণীয়, প্রস্তুতি ও জনমনে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে ফেসবুকের এই পোস্টি নিয়ে।