Homeশিক্ষাজাতীয় শিক্ষাক্রমে বড় পরিবর্তন নতুন কারিকুলাম চালু

জাতীয় শিক্ষাক্রমে বড় পরিবর্তন নতুন কারিকুলাম চালু

জাতীয় শিক্ষাক্রমে বড় পরিবর্তন নতুন কারিকুলাম চালু
জাতীয় শিক্ষাক্রমে বড় পরিবর্তন নতুন কারিকুলাম চালু

নতুন কারিকুলাম: জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড থেকে নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে যাচ্ছে। সেখান থেকে জানানো হয় বর্তমান যে কারিকুলামের শিক্ষা ব্যবস্থা চলছে সেটি খুব তাড়াতাড়ি পরিবর্তন করা হবে। তবে এই পরিবর্তনটি সরকারই করতে পারবেন। তাই ধারণা করা যাচ্ছে ২০২৬ সালের শেষে অথবা ২৭ সালে এই নতুন কারিকুলাম চালু হতে পারে।

নতুন কারিকুলাম কবে পরিবর্তন হবে?

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭৭ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত শিক্ষা ব্যবস্থায় পাঁচবার পরিবর্তন আসে। এর মধ্য থেকে সর্বশেষ শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটে ২০২১ সালে এবং তার আগে শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটেছিল ২০১২ সালে। ২০১২ সালে খুবই বড় একটি শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটেছিল তখনকার সরকার শেখ হাসিনার আমলে। ২০১২ সালে বড় পরিবর্তনের মধ্যে ছিল “সৃজনশীল” শিক্ষা ব্যবস্থা।

তবে পরিবেশ যে শিক্ষা ব্যবস্থায় রয়েছে সেটি ছিল শুধুমাত্র পড়াশোনায় সীমাবদ্ধতা। তাই এখন প্রয়োজন নতুন দুনিয়ায় নতুন ভাবে সৃষ্টি করতে হলে বাস্তব অভিজ্ঞতার খুবই প্রয়োজন। সেজন্য ধারণা করা হচ্ছে আগামী ২০২৭ সালে যে নতুন কারিকুলাম আসবে সেটি হয়তো পড়াশোনার পাশাপাশি বাস্তব অভিজ্ঞতা, হাতে কলমে শেখানো এই বিষয়গুলো থাকবে।

২০২১ সালে যখন শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটায় তখন সৃজনশীল বাদ দিয়ে বাস্তব চিত্র অংকন করতে চাইছিল শিক্ষা বোর্ড। কিন্তু তখনকার যে শিক্ষাব্যবস্থা ছিল সেটি শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছিল না। যার কারনে তারা বিভিন্ন জায়গায় এ বিষয় নিয়ে আন্দোলনও করেছিল। অভিভাবকরা অভিযোগ করছিল যে তাদের সন্তানরা পড়াশোনা না করে অন্যমনস্ক হয়ে যাচ্ছিল। বর্তমান ডিজিটাল প্রযুক্তি আসার কারণে সকল শিক্ষার্থী ফোনের প্রতি আসক্ত হয়ে গেছিল। 

আসলে এই শিক্ষা-ক্রমটাও খুবই ভালো ছিল এবং বাস্তব রূপরেখা দিতে পারতো কিন্তু শিক্ষার্থীরা মোবাইল ফোন নিয়ে পড়াশোনা না করে তারা বিভিন্ন গেমস বা বিভিন্ন প্লাটফর্মে আকর্ষিত হয়ে গেছিল। যার কারণে বাস্তব রূপরেখা সে কাল্পনিক জগতেই সকল শিক্ষার্থীরা চলে গেছিল।

কিন্তু ৫ ই আগস্ট সরকার পতন হওয়ার পরে। আবারো সেই নতুন কারিকুলাম বাদ দিয়ে ২০১২ সালের কারিকুলামে ফিরে সৃজনশীলে এসেছে এবং বর্তমানে এটি চলতেছে। তবে শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল শেখালেই সে বাস্তব অভিজ্ঞতা কিছুই বুঝতে পারবে না। যার কারনে শিক্ষা বোর্ড থেকে নতুন কারিকুলামে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে এবং সেখানে থাকতে পারে ২০১২ সালের কারিকুলাম এবং ২০২৩ সালের কারিকুলাম।

শিক্ষা উপদেষ্টা ও অধ্যাপক ডক্টর চৌধুরী রফিকুল জানিয়েছেন, এই নতুন কারিকুলাম আমরা পরিবর্তন করতে পারবো না। এটি একটি সরকার গঠিত হওয়ার পরেই শুধুমাত্র পরিবর্তন করা সম্ভব। আমরা শুধুমাত্র এটির উদ্যোগ নিতে পারি। তাই এই উদ্দেশ্যে থেকে ধারণা করা হচ্ছে ২০২৭ সালেই শিক্ষাক্রমের একটি পরিবর্তন আসবে। সেখানে থাকবে শিক্ষার্থীদের জন্য সৃজনশীল এর পাশাপাশি বাস্তব অভিজ্ঞতা এবং হাতে-কলমে শেখানো।

আরো পড়ুন:

২০২৫ অনার্স ভর্তি ফরম ডাউনলোড করে নতুন নিয়মে কলেজে ভর্তি – জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

বর্তমান বিশ্ব যেভাবে আধুনিক প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাচ্ছে সেভাবে আমাদের বাংলাদেশকেও এগিয়ে যেতে হবে। আর আমাদের এই বাংলাদেশকে আধুনিক প্রযুক্তিতে এগিয়ে যেতে হলে বাস্তব অভিজ্ঞতার খুবই দরকার। কারণ এখন আর কাল্পনিকভাবে বা পূর্বের স্মৃতিগুলো পড়ে নতুন কিছু আবিষ্কৃত করা সম্ভব নয়। সেই কারণে আমাদের আধুনিক প্রযুক্তিতে নতুন নতুন কিছু সৃষ্টি করতে হলে বর্তমান সময়ের আধুনিক প্রযুক্তির জ্ঞানটাই প্রয়োজন।

আর একটা শিক্ষার্থীর জ্ঞান তখনই প্রকাশ হয় যখন সে ভালোভাবে বাস্তব অভিজ্ঞতার সাথে মিলিত হয়। যদি বাস্তব অভিজ্ঞতার সাথে মিলিত না হওয়া যায় তাহলে কোনভাবেই নতুন কিছু আবিষ্কৃত বা সৃষ্টি করা সম্ভব নয়। তাই আমাদের বাংলাদেশকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অবশ্যই বাস্তব অভিজ্ঞতা টাই প্রয়োজন। এই কারণে আমাদের কিভাবে বাস্তব অভিজ্ঞতাটা শিক্ষার্থীদের কে দেওয়া যায় এ বিষয়ে ভাবা উচিত।

- Advertisement -
Star Shanto
Star Shantohttps://starshanto.com/
Shanto Ghose is the CEO and MD of Star Shanto. I have 7 years of Online Experience.
- Advertisement -
Latest news
- Advertisement -
Related Post

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here