
জাতীয়ভাবে স্বীকৃত হলো ৫ আগস্ট, জারি হলো প্রজ্ঞাপন
সরকারিভাবে ৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই দিনটি উপলক্ষে দেশজুড়ে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। গত ২ জুলাই (বুধবার) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ খালেদ হাসান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জুলাই মাসের এই বিশেষ দিনটি জাতীয় গুরুত্বের ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস: ইতিহাসের নতুন অধ্যায়
প্রতিবছর ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ পালনের মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ দিনকে স্বীকৃতি দেওয়া হলো। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সরকার ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করতে চায়। প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এটি ‘ক’ শ্রেণির জাতীয় দিবস হিসেবে যুক্ত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে মহান স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস ইত্যাদি।
ছুটি মানে শুধু বিশ্রাম নয়, ইতিহাস জানার সুযোগ
এই ছুটি শুধু বিশ্রামের সুযোগ নয়, বরং নাগরিকদের জন্য একটি ইতিহাস চর্চার দিন হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম জানবে তাদের অতীত সংগ্রামের কথা।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী কী কী বলা হয়েছে?
- প্রতি বছর ৫ আগস্ট সাধারণ ছুটি থাকবে।
- এটি ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে পালিত হবে।
- জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস সংক্রান্ত ২০২৪ সালের ২১ অক্টোবরের পরিপত্র অনুযায়ী এটি ‘ক’ শ্রেণির দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
- দিবসটি সরকারি উদ্যোগে পালিত হবে।
- বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আলোচনা, সভা ও স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন হতে পারে।
এই ছুটির প্রভাব কী হবে?
এই সাধারণ ছুটির ফলে দেশজুড়ে সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
এছাড়া কিছু সম্ভাব্য প্রভাব:
🔹 পরিবহন খাতে চাপ কমবে
🔹 আর্থিক লেনদেনে এক দিনের বিরতি
🔹 পরিবার ও সমাজে সময় কাটানোর সুযোগ
🔹 ইতিহাস চর্চা ও জাতীয়তাবোধ জাগ্রত করা
এই নতুন দিবস আমাদের ইতিহাসকে স্মরণ করার এক মহৎ উদ্যোগ। সরকারিভাবে ছুটি ঘোষণার মাধ্যমে তা আরও গুরুত্ব পেয়েছে। ইতিহাস মনে রাখা আর ভবিষ্যতের জন্য শিক্ষা নেওয়ার এটিই উপযুক্ত সময়।
আরো পড়ুন: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবছর ২০২৪ শিক্ষার্থীকে ৬০০০ টাকা করে শিক্ষাবৃত্তি দিবে
৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে সারাদেশে ছুটি ঘোষণা নতুন প্রজন্মের জন্য ইতিহাস জানার এক অসাধারণ সুযোগ। এই দিনটি শুধুই একটি ছুটি নয়, বরং জাতির সংগ্রামী চেতনাকে সম্মান জানানোর দিন। সরকারের এই সিদ্ধান্ত দেশের নাগরিকদের মধ্যে জাতীয় ইতিহাসের প্রতি সচেতনতা বাড়াবে এবং আগামী দিনে আরও ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করবে।