টেলিটক নিয়ে আসছে ই-সিম

টেলিটক নিয়ে আসছে ই-সিম – টেলিটক ই-সিম ব্যাবহার পদ্ধতি

অবশেষে টেলিটক নিয়ে আসছে ই-সিম সেবা। বাংলাদেশে প্রথম ই-সিম নিয়ে আসছে গ্রামীণফোন। গ্রামীণফোন ২০২২ সালে ই-সিম চালু করে। এরপর আস্তে আস্তে বাংলালিংক ও রবি তাদের ই-সিম সেবা পদ্ধতি চালু করেন। সেই ধারাবাহিকতায় টেলিটকে নিয়ে আসছে ই-সিম সেবা।

টেলিটক ই-সিম কি

টেলিটক ইলেকট্রনিক্স সিম।

অনেকেই জানেন না ই-সিম কি? ই-সিম হল ভার্চুয়াল সিম কার্ড। অর্থাৎ আমরা বর্তমানে যে সকল সিম কার্ড ব্যবহার করি সেগুলো ম্যানুয়াল সিম। যেটা একটি কার্ড বা বস্তু এটি আমরা ইচ্ছা করলে ফোনে ঢুকাতে পারি এবং খুলতেও পারি। কিন্তু ই-সিম হল ভার্চুয়াল যেটা হাতে ধরা যায় না। ই-সিম প্রযুক্তি হল আপনার ফোনের মধ্যেই তৃতীয় পক্ষ হিসেবে কাজ করবে। বর্তমানের স্মার্টফোনগুলোয় এস এম কার্ডের এক্টিভেশন রয়েছে।

টেলিটক ই-সিম চালু

বাংলাদেশে টেলিটক ই-সিম উদ্বোধন করেন ২১শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সালে। অথাৎ ২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে উদ্বোধন করেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

টেলিটক ই-সিম ব্যবহার

  • একটি স্মার্ট ফোনে সর্বোচ্চ পাঁচটি ই-সিম ব্যবহার করতে পারবেন।
  • টেলিটক ই-সিম বাজার বা অনলাইন থেকে কিনতে পারবেন।
  • তারপর ই-সিম কার্ড এক্টিভিশন করার জন্য QR কোড পাবেন সেটি স্কানিং করে মোবাইল ফোনে একটিভ করতে হবে।
  • টেলিটক ই-সিমে মোবাইল রিচার্জ সহ ইন্টারনেট প্যাকেজ কিনতে পারবেন অ্যাপস এর মাধ্যমে।

টেলিটক ই-সিম এর সুবিধা

  • বর্তমানে আমরা যে সিম কার্ডগুলো ব্যবহার করে থাকি সেটি হারিয়ে যাওয়া অথবা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আপনি যদি টেলিটক ই-সিম ব্যবহার করেন তাহলে হারিয়ে যাওয়া বা নষ্ট হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।
  • ই-সিম ফোনে একবারই অ্যাক্টিভেশন করলে সেটি সারাজীবন ব্যবহার করতে পারবেন।

টেলিটক ই-সিম এর অসুবিধা

টেলিটক ই-সিম এর বড় অসুবিধা হল সিমটি শুধুমাত্র স্মার্ট ফোনে ব্যবহার করা যাবে। এটি বাটন মোবাইল ফোনে ব্যবহার করা যাবে না।

টেলিটক ই-সিমের দাম

যেহেতু বাজারে এখনো সিমটি আসে নাই শুধুমাত্র এর উদ্বোধন হয়েছে। এইতো বাজারে যদি সিমটি আসে তাহলে তার দাম তখন নির্ধারণ করে দেয়া হবে। তবে এটুকু জেনে নিন ম্যানুয়াল সিম কার্ডের দামের থেকে ভার্চুয়াল ই-সিম এর দাম কম হবে।

টেলিটক ই-সিমের নিরাপত্তা

টেলিটক ই-সিম যেহেতু ডিজিটাল অথেনটিকেশন তাই অনেকে মনে করেন ই-সিম সাধারণ সিমের মত ততোটা নিরাপদ নয়। যদি আপনি এটি ভেবে থাকেন তাহলে আপনি ভুল জানেন। কারন ই-সিমে eUICC স্টোর করা থাকে যার জন্য ম্যানুয়াল সিম কার্ড থেকে ই-সিমকে আলাদা করে।

eUICC হলো ডিভাইসে থাকা একটি ডেডিকেটেড চিপ। যেটি ম্যানুয়াল সিম কার্ডের মতোই ই-সিমের নিরাপত্তা একই প্রদান করে। eUICC চিপটি থাকার জন্য আলাদা করে বাড়তি হার্ডওয়ার এর প্রয়োজন হয় না।

এছাড়া ই-সিম জেনারেশনের প্রক্রিয়া জিএসএমএ দ্বারা খুবই সুরক্ষিত, যা সাইবার থ্রেট থেকে নিরাপত্তা প্রদান করে।

বিশ্বে ই-সিম ব্যবহারকারীর সংখ্যা কত

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন ২০২৫ সালের মধ্য ই-সিম ব্যবহারকারী সংখ্যা দাঁড়াবে 3.4 Billion.

সর্বশেষে

এই ধরনের সকল তথ্য পেতে এখনই আমাদের গুগল নিউজ ফলো করে রাখুন।

TAG: টেলিটক নাম্বার দেখার উপায়, টেলিটকের ই-সিম কার্যক্রম উদ্বোধন, ই-সিমের যুগে টেলিটক #teletalk #ESIM #SimCard, ই-সিম নিয়ে এলো টেলিটক, Teletalk e-sim Activation process, টেলিটক ই সিম সক্রিয়করণ, টেলিটক ই-সিমের যাত্রা শুরু, ই সিম কোথায় পাবেন, ই-সিম কি? ই সিমের ব্যবহারের সুবিধা কি কি, বাংলা স্পিচ টু টেক্সট ও টেলিটকের ই সিম উদ্বোধন করলেন পলক

Post Share Now

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *